‘এ শ্রী, ও শ্রী, কু শ্রী…আমরা ঘেউ ঘেউ করছি করব!’ ‘চলুন মাস্টারমশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি!’ লক্ষ্য একুশের বিধানসভা নির্বাচন। এবার শাসকদলের হয়ে নির্বাচনে ভোট প্রচারে নামচ্ছে, রাজ্যের ১২ হাজার শিক্ষকের দল। প্রতি দলে ৫ জন করে প্রাথমিক শিক্ষক থাকবেন। শনিবারই তৃণমূল ভবনে একথা ঘোষণা করেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনিই এই দলের সূচনা করবেন। আর এই গোটা অভিযানে নেতৃত্ব দেবে তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি।
ভোট প্রচারে জেলা ও পঞ্চায়েতে শিক্ষকদের দল পাঠানো হবে। তাঁরাই বাড়ি গিয়ে, শাসকদলের ৬৪টি উন্নয়ন সম্পর্কীত প্রকল্প পুস্তিকা বিনামূল্যে বিতরন করবেন। কিন্তু কেন এমন উদ্যোগ? তৃণমূল সূত্রে খবর রাজ্যের অনেকেই জানেন না বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের কথা৷ সেই সব প্রকল্পের কথা জানাতে এবং কিভাবে সেইসব প্রকল্পে আবেদন করতে হবে সবটাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসাধারণের কাছে তুলে ধরবেন। ফলে এই অজ্ঞতার সুযোগ নিয়েই অনেকেই সাধারণ মানুষদের বোকা বানায়। এমনকি কাটমানিও খায় অনেকে। আর এই অভাব অভিযোগ রিপোর্ট আকারে জমা পড়বে তৃণমূল ভবনে।
২2০১৮ সালে ১৪ মে পঞ্চায়েত ভোটে নির্বাচনে ভোটের ডিউটি থেকে হঠাৎই নিঁখোজ হয়ে যান, প্রিসাইডিং অফিসার রাজকুমার রায়। তরপরই তার দেহ উদ্ধার করা হয় ভোটকেন্দ্র থেকে বেশকিছুটা দূরে একটি রেললাইনের ধার থেকে। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। শিক্ষকেরাও প্রশ্ন তুলতে থাকেন ভোটের কাজে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে। এদিকে শিক্ষকদের একধিক দাবিদাওয়া না পূর্ণ হওয়ার অভিযোগ ফের মাথা চাড়া দিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় নতুন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর।
‘চলুন মাস্টারমশাই ঘুরি বাড়ি বাড়ি!’ এই উদ্যোগ কে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বিজিটিএ-র রাজ্য সম্পাদক সৌরেন ভট্টাচার্য। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন “এ শ্রী, ও শ্রী, কু শ্রী মিলে সব প্রকল্পের নামে খয়রাতির টাকার অভাব হয় না ! অভাব অনীহা শুধু আমাদের ন্যায্য দাবি মেটাতে। তাই আমরা ঘেউ ঘেউ করছি করব!”
No comments:
Post a Comment